জঙ্গি ঠেকাতে সামাজিক আন্দোলন গড়তে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গি সংগঠনগুলো দেশের শিক্ষিত তরুণদের ‘বিপথগামী করছে’ মন্তব্য করে সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে এর বিরুদ্ধে ‘সামাজিক আন্দোলন’ গড়ে তুলতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2016, 12:04 PM
Updated : 5 July 2016, 01:48 PM

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার তিন দিন পর মঙ্গলবার সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, “দেশের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”

আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতীম’ দেশগুলোর সহযোগিতাও নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

এই সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেন যে শনিবার সকালের কমান্ডো অভিযানে নিহত ছয়জনের মধ্যে জঙ্গি ছিলেন আসলে পাঁচজন, যদিও প্রাথমিকভাবে তাদের সবাইকে হামলাকারী বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, “নিহত সন্ত্রাসীরা সবাই বাংলাদেশি এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।”

কামাল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা  এবং সকালে সেখানে কমান্ডো অভিযানের বিবরণ তুলে ধরে নিহতের সংখ্যা জানালেও কতজনকে আটক করা হয়েছে- সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি। সংবাদ সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তরও তিনি দেননি।

গত শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি গুলশানের ওই ক্যাফেতে হামলা চালালে দেশি বিদেশি অতিথিরা সেখানে জিম্মি হন। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।

নিহতদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব ছিল।

ওই ঘটনার পর শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের উপর আস্থা রাখুন। ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমরা যে কোনো মূল্যে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ঠেকাতে জনগণকে সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।