বাংলাদেশকে সহযোগিতার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

ঢাকায় জঙ্গিদের হাতে নিহতদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক রয়েছে জানিয়ে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2016, 07:57 PM
Updated : 2 July 2016, 07:57 PM

শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গুলশানের কূটনীতিকপাড়ার একটি ক্যাফেতে ওই হামলায় অন্তত ১৭ বিদেশির মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ‘নিবিড় যোগাযোগ’ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাতে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হানা দেওয়ার ১২ ঘণ্টার জিন্মি সঙ্কট শেষে ২০ জিম্মির লাশ উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে নয় ইতালীয়, সাত জাপানি ও এক ভারতীয় নাগরিক রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জিম্মি সঙ্কট শুরুর পর থেকে রাত ১১টার মধ্যে জঙ্গিদের ঠেকাতে গিয়ে তাদের ছোড়া বিস্ফোরকের স্প্লিন্টারে মারা যান আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযানের পর দুপুরে আইএসপিআর ছয় বন্দুকধারীর মৃত্যুর খবর দেয়, যাদের পাঁচজনকে জঙ্গি চিহ্নিত করে সন্ধ্যার পর তাদের ছবি প্রকাশ করে পুলিশ।

অস্ত্রধারীদের ওই হামলায় নিজেদের এক নাগরিক নিহত হওয়ার কথা জানালেও বিবৃতিতে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে এলিগেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে অবিন্তা কবীর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। অবিন্তার নানা সুপারস্টোর ল্যাভেন্ডারের মালিক।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে হামলার রাতেই জঙ্গিগোষ্ঠীটির কথিত মুখপাত্র ‘আমাক’ এর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে খবর আসে।

এদিকে হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা প্রস্তাব দেন, যে হামলায় এক ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেও শনিবার সকালে শেখ হাসিনাকে ফোন করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশের থাকার অঙ্গীকার করেন। হামলায় নিহত বিদেশিদের মধ্যে সাতজন জাপানি।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকায় বর্বর এই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানায় এক হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ।

“সব সময়ের মতো আজও, সমন্বিত প্রচেষ্টায় সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র জঙ্গিবাদ দমনে আমরা বাংলাদেশের জনগণের পাশে রয়েছি।

“২০ বা তার বেশি বেসামরিক মানুষকে গলা কেটে হত্যা এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা নিহত ও আহত হয়েছেন হামলায় তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আমাদের সমবেদনা।”

উগ্র জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়ে যাবে বলেও বিবৃতি জানানো হয়।