তাদের একজন তাহমিদ (২২) শাহরিয়ার খান নামে এক ব্যবসায়ীর ছেলে।
ছেলেকে এখনও না পেয়ে উদ্বেগে আছেন জানিয়ে শাহরিয়ার শনিবার রাত ১১টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তাহমিদ গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
“আমার ছেলেকে কেন দেওয়া হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আপনারা একটু দেখেন।”
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার ১৩ জনসহ অন্তত ২৭ জনকে তাদের হেফাজতে নিয়েছিলেন।
“প্রত্যেকের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপরেই তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকীরা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকজনের বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তথ্য যাচাই-বাছাই করছেন তারা।
“জঙ্গিদের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ছেলের খোঁজে রাতে গুলশানের ওই এলাকায় অবস্থান করেন শাহরিয়ার।
জিম্মি সঙ্কটের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে তাহমিদের ফোন পান বলে জানান শাহরিয়ার।
“সে ফোনে জানায়, বাবা আমরা ভালো আছি। এর পর কল কেটে যায়,” সকালে বলেছিলেন তিনি।
গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
সেখান থেকে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার এবং ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
কমান্ডোদের গুলিতে সেখানে ছয় হামলাকারী নিহত হন এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন চিহ্নিত জঙ্গি বলে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।