নিহত বিদেশিদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব রয়েছে।
শনিবার সকালে গুলশানের ওই ক্যাফেতে অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর আইএসপিআর জানায়, সেখান থেকে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক। রাতেই তাদের গলা কেটে হত্যা করে হামলাকারীরা।
নিহত নাগরিকদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরা হলেন- বারিধারাভিত্তিক ইতালীয় বায়িং হাউজ স্টুডিও টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাদিয়া বেনেদিত্তো, গুলশান ২ নম্বরের আরেক ইতালীয় বায়িং হাউজ ডেকাওয়ার্ল্ডের প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ভিনসেনজো দ আলেস্ত্রো, ক্লদিও মারিয়া দান্তোনা, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, আডেলে পুগলিসি, ক্লদিও চাপেলি, ক্রিস্টিয়ান রোসিস ও মারকো তোনডাট।
শনিবার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনিও ঢাকায় হামলায় তাদের নয় নাগরিক নিহত এবং একজন নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়েছেন।
তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “নিহত নয়জনকে (ইতালীয়) আমরা চিহ্নিত করেছি। আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন, তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন বা আহতদের মধ্যে থাকতে পারেন… আমরা তার খোঁজ করছি।”
নিহত ছয় জাপানি হলেন- তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো।
নিহত ভারতীয় নাগরিক হলেন তারিশা জেইন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও ঢাকার হামলায় ভারতীয় এই তরুণীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে এলিগেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে অবিন্তা কবীর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। অবিন্তার নানা সুপারস্টোর ল্যাভেন্ডারের মালিক।
অন্য দুজন হলেন-ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হোসেন ও ডেএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক ইশরাত আখন্দ।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজেন বেকারিতে একদল অস্ত্রধারী ঢুকে বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী।
এ সময় ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি এই ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে আইএসপিআর জানায়।