বাংলাদেশে নজিরবিহীন এই হামলার পর ওই বেকারিতে জিম্মি সঙ্কট তৈরি হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
ঘটনার শুরু রাত পৌনে ৯টার দিকে; আট থেকে ১০ জন যুবক হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়ে এবং গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ শুরু করে বলে বেকারির সুপারভাইজার সুমন রেজার তথ্য।
প্রায় আধা ঘণ্টা পর সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে শুরু হয় তুমুল গোলাগুলি। পুলিশ ওই বেকারিতে ঢোকার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে গ্রেনেড ছোড়া হয় বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আর রাত সোয়া ১টার দিকে একই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম সাংবাদিকদের জানান, সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলামেরও মৃত্যু হয়েছে।
গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় ৭৯ নম্বর রোডে হলি আর্টিজান বেকারি ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “সেখানে কিছু অস্ত্রধারী প্রবেশ করেছে। এইটাই আমাদের কাছে খবর।... আমরা চেষ্টা করব, যারা ভেতরে আছেন, যারা খেতে এসেছিলেন, তাদের জীবনের নিরাপত্তা অবশ্যই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিপথগামী যারা ভেতরে আছেন, তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলতে চাই।”