নীতিমালা ভঙ্গ: ৩ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সাময়িক বন্ধের নির্দেশ

মেডিকেল কলেজ পরিচালনার নীতিমালা ভঙ্গ করায় দেশের তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2016, 11:24 AM
Updated : 12 June 2016, 12:19 PM

এগুলো হলো- রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ ও আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ।

সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নীতিমালা নিয়ে এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন বলে এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ওই তিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্য বেসরকারি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সুযোগ দেওয়া হবে।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মেডিকেল কলেজের মান বজায় না থাকলে দেশে সুচিকিৎসক পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সার্টিফিকেট বিতরণের জন্য কলেজের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেওয়া যায় না।

“কলেজের কার্যক্রমের মান সুরক্ষায় সরকার কঠোরভাবে তদারকি করবে।”

দেশের ৬৮টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষ করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন কমিটি এর মধ্যে ২৫টি বেসরকারি কলেজের পরিদর্শন শেষ করেছে বলে সভায় জানানো হয়।

ওই তিন মেডিকেল কলেজ কী কী নীতিমালা ভঙ্গ করেছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা-দুইটা না, অনেক অপরাধ।”

এর মধ্যে ভর্তির নীতিমালা না, কলেজ সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা ও রোগী না থাকাসহ অনুমতি ছাড়া জামানতের টাকা উত্তোলনের কথা তুলে ধরেন তিনি।

সব শ্রেণি মিলে ওই তিন কলেজে হাজারখানেক আসন রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।

রোববারের সভায় নীতিমালা ভঙ্গ করায় চট্টগ্রামের সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এছাড়া সভায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা ১২৫ থেকে কমিয়ে ৭৫ বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

আব্দুর রশিদ বলেন, “কলেজটির মান মোটমুটি ভাল হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক ও রোগী না থাকায় আসনসংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

সভায় অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব বিমান কুমার সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লা এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা অনুষদের প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।