মিতু হত্যার পিছনে জঙ্গিরা, ধারণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জঙ্গিরাই পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2016, 06:52 AM
Updated : 5 June 2016, 07:54 AM

তিনি বলেন, “বাবুল আক্তার একজন দক্ষ, সৎ অফিসার এবং জঙ্গি দমনে প্রচুর কাজ করেছে। তাই তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

দুই মাস আগে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হয়ে ঢাকায় আসার আগে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন বাবুল আক্তার। সে সময় তার নেতৃত্বে জেএমবির আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে নেতা পর্যায়ের একজন পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন।

জঙ্গি দমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত বাবুল ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দিলেও তার পরিবার ছিল চট্টগ্রাম শহরে।

রোববার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেওয়ার সময় তার স্ত্রী মাহমুদার মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলআরোহী হামলাকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

মাহমুদা আক্তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

মিতুর লাশ তোলা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে

পুলিশ কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করতে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“তবে অন্যান্য দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হবে,” বলেছেন তিনি।

এ প্রেক্ষাপটে জঙ্গি দমনে দায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “হ্যাঁ, বিষয়টি এখন ভাবার সময় হয়েছে। জঙ্গিরা যখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং ধিক্কৃত হচ্ছে তখন তারা এ ধরনের পথ বেছে নিয়েছে।

“অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল মাঠে বিজিবির ৮৮ ব্যাচের সৈনিকদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেখান থেকে শহরে এসপি বাবুলের বাসায় যাবেন তিনি।