হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট আবেদনটি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহে এর উপর শুনানির আবেদন করা হবে বলে মানবাধিকার সংস্থাটির আইনজীবী অবন্তী নুরুল সোমবার জানিয়েছেন।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ উদ্ধারের পর দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চললেও এখন পর্যন্ত খুনি শনাক্ত কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তনুর প্রথম ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা ধর্ষণের কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল, যা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হলেও দুই মাসেও তার প্রতিবেদন দিতে পারেননি চিকিৎসকরা।
এর মধ্যে হত্যার তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলমত পরীক্ষা করে কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা পাওয়ার কথা জানিয়ে বলে, তনুকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
এরপর কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি না দেখে রোববার অগ্রগতি প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র।
প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে।
দ্বিতীয় ময়না তদন্তে দেরির জন্য মেডিকেল বোর্ডের প্রধানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রতিবেদন দাখিলের আর্জিও জানানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, র্যাবের ডিজি, কুমিল্লার এসপিসহ ১০ জনকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী অবন্তী নুরুল।