ইস্কাটনে জোড়া খুন: এমপিপুত্র রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু

দুই বার তারিখ পেছানোর পর রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলায় সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2016, 01:33 PM
Updated : 26 May 2016, 03:41 PM

ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার বৃহস্পতিবার দুজনের সাক্ষ্য নিয়ে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ জুন দিন ঠিক করেন।

এদিন সাক্ষ্য দেন ওই ঘটনায় নিহত রিকশাচালক হাকিমের মা ও মামলার বাদী মনোয়ারা বেগম এবং নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলির স্ত্রী সালমা বেগম।

এর আগে ১১ এপ্রিল ও ৮ মে দুই দফায় এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়।

গতবছর ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে গাড়ি থেকে ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে আবদুল হাকিম নামের এক রিকশাচালক এবং ইয়াকুব আলী নামের এক অটোরিকশাচালক আহত হন।

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গতবছর ৩১ মে ঢাকার এলিফেন্ট রোডে সরকারদলীয় সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পিনু খানের বাসা থেকে রনিকে আটক করে।

তদন্ত শেষে ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই দীপক কুমার দাস।

‘খুনের উদ্দেশ্য না থাকলেও’ আসামি জানতেন যে তার গুলিতে কেউ হতাহত হতে পারে- এই যুক্তিতে হত্যার অভিযোগ এনে এ মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেন তিনি।

নিহতের শরীরে পাওয়া গুলির ব্যালিস্টিক রিপোর্ট, রনির অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের প্রতিবেদনসহ মোট ১৫টি আলামত অভিযোগপত্রের সঙ্গে যুক্ত করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রনির গাড়িচালক ইমরান ফকির এবং ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা তার দুই বন্ধু ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিলেও রনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেননি। কালো রঙের ওই প্রাডো গাড়ির মালিক সংসদ সদস্য পিনু খান বলে গণমাধ্যমে খবর আসে সে সময়।

রনির বন্ধু কামাল মাহমুদ ঢাকার হাকিম আদালতে জবানবন্দিতে বলেছিলেন, লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে সাংসদপুত্রই সেদিন গুলি ছুড়েছিলেন।

রনির পিস্তলের গুলিতেই ইয়াকুব ও হাকিমের মৃত্যু হয় বলে পরে ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় পুলিশ।

এই সাংসদপুত্রের গাড়ি চালক ইমরান ফকিরকেও গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তবে সাক্ষী হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে মোট ৩৭ জনকে সাক্ষী করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।