‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন ইলেকটোরাল সিস্টেম’ বিষয়ক এ গবেষণামূলক প্রবন্ধ জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া ‘ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’ (ফেমবোসা)-এর সিম্পোজিয়ামে উপস্থাপন করা হবে।
ইসির উপ সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, আগামী ২০ জুনের মধ্যে এ গবেষণামূলক প্রবন্ধ জমা দিতে হবে। ইসির কর্মকর্তারা ছাড়া দেশের যে কোনো নাগরিক ৫ হাজার শব্দের মধ্যে ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে জমা দিতে পারবেন।
এজন্য মনোনয়নপ্রাপ্তদের ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা।
অবশ্য এ নিয়ে ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এ প্রবন্ধটি একটি সিম্পোজিয়ামে উপস্থাপনের জন্য। সেক্ষেত্রে প্রবন্ধের স্বত্ত্বও থাকবে ইসির। নিজেদের ব্যবস্থাপনার সক্ষমতার পাশাপাশি ঝুঁকিগুলোও প্রসঙ্গে প্রাধান্য পাবে, যা প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ থেকে ভোটের ফলাফল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। কোনো কোনো দেশ প্রযুক্তির ব্যবহার এক ধাপ এগিয়ে ই-ভোটিং (ইন্টারনেট ভোটিং) এর ব্যবস্থাও করছে।
এ অবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার নির্বাচন পরিচালনাকে সহজ ও নির্ভরযোগ্য করছে বলে মন্তব্য এই ইসি কর্মকর্তার।
প্রবন্ধে প্রযুক্তির ব্যবহারে ঝুঁকির দিকগুলো ছাড়া কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মতৈক্য, ব্যবহার বান্ধব, ব্যয়সাপেক্ষতা, শিক্ষার হার, নির্বাচনী আইন, সংস্কৃতি, টেকসই, পরিবহন ব্যবস্থাও রয়েছে।”