কোন সংকেতের কী মানে

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 May 2016, 01:06 PM
Updated : 20 May 2016, 01:06 PM

শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৫ থেকে ৭ নম্বর ‘বিপদ সংকেত’ দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনায় ১ থেকে ১১ নম্বর পর্যন্ত সংখ্যা দিয়ে উপস্থাপিত সংকেতগুলো ব্যাখ্যা করে একটি তালিকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফেইসবুকে প্রকাশ করা হয়েছে।

 

অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৫, ৬ ও ৭  নম্বর বিপদ সংকেতের মাত্রা একই। ঝড় কোন দিক দিয়ে যাবে তার ভিত্তিতে নম্বর আলাদা করা হয়।

“বিপদ সংকেতের মানে হচ্ছে, বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েছে। ঝড়ে সময় বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার থাকবে।”

ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি বাংলাদেশের তৈরি পর্যায়ক্রমিক এই সংকেত ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক সংকেত ব্যবস্থা থেকে কিছুটা ভিন্ন।

এছাড়া নদী বন্দরের জন্যও চারটি (১-৪) সংকেত রয়েছে।

 

ঝড়ের শ্রেণিবিভাগ

বাতাসের গতিবেগের ভিত্তিতে সাগরে বায়ুচাপ ও ঝড়ের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটারে বেশি হলে ঘূর্ণিঝড় ধরা শুরু হয়।