বাংলাদেশ ও বুলগেরিয়ার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ।
এছাড়া দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে একটি কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শুক্রবার সোফিয়ায় বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হয়।
বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের চুক্তির বিভিন্ন বিষয় জানান।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও বুলগেরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাটিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও বুলগেরিয়ার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এন্টারপ্রাইজ করপোরেশনের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক তিনটি স্বাক্ষরিত হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) এবং বুলগেরিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে হয় পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি।
বুলগেরিয়া রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দিকি বাংলাদেশের পক্ষে ও পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ভেলেন্তিন পরিয়াজভ দেশটির পক্ষে কূটনৈতিক সহযোগিতার সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন।
আর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিষয়ে সমঝোতায় বাংলাদেশের পক্ষে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও বুলগেরিয়ার পক্ষে এসএমই প্রমোশন এজেন্সির নির্বাহী পরিচালক সই করেন।
অপর চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে এফবিসিসিআইয়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম ও বুলগেরিয়ার পক্ষে বিসিসিআইয়ের মহাসচিব ভাসিল তদোরভ স্বাক্ষর করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গ্লোবাল উইমেন লিডারস ফোরাম উপলক্ষে গত বুধবার বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিনই ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
সফর শেষে শুক্রবার রাতে সোফিয়া থেকে রওনা হয়ে শনিবার সকালে ঢাকা পৌঁছনোর কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।