ওই ঘটনায় পুলিশের কিছু ‘করার ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশ কি পদক্ষেপ নিয়েছে।
ডিআইজি এমএম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান এ সময় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে বলতে অনুরোধ করেন।
জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, “বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। সেখানে ফৌজদারি কোনো অপরাধ ঘটেনি। ফলে পুলিশের করার কিছু নেই।”
শুক্রবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করে স্থানীয় জনতা।
এক পর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান তাকে কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন।
ওই শিক্ষকের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ‘অনৈতিক আবদার’ না রাখায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ধর্মীয় অবমাননার কথা বলে এলাকাবাসীকে জড়ো করে তার উপর হামলা চালানো হয়।
ওই শিক্ষকের পরিবার নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হলে পুলিশ সুপার বলেন, “তারা কেউ পুলিশের সাহায্য চাইলে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ওই ঘটনায় কোনো অপরাধ খুঁজে না পেলেও উপজেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ঘটনার খবর নিয়েছি, এটা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে আরও তথ্য নেব। প্রয়োজনে আরও তদন্ত করে এ বিষয়ে যা যা করণীয় সম্ভব সেটা করব।”