শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্তের পর পদক্ষেপ: শিক্ষামন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জে এক শিক্ষককে পেটানোর পর তাকে কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তদন্ত করে করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2016, 08:23 AM
Updated : 16 May 2016, 07:58 PM

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটার খবর নিয়েছি, এটা খুবই দুঃখজনক। এবিষয়ে আরো তথ্য নেব। প্রয়োজনে আরও তদন্ত করে এই বিষয়ে যা যা করণীয় সম্ভব সেটা করব।”

শুক্রবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে পিটিয়ে জখম করে স্থানীয় জনতা।

এক পর্যায়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান তাকে কান ধরে উঠবস করতে বাধ্য করেন।

ওই শিক্ষকের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ‘অনৈতিক অবদার’ না রাখায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ধর্মীয় অবমাননার কথা বলে এলাকাবাসীকে জড়ো করে তার উপর হামলা চালানো হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যদি তিনি (শিক্ষক) কোনো অপরাধ বা ‍ভুল করে থাকেন, তাহলে নিয়ম কানুন আছে, রীতি-রেওয়াজ আছে। এটাকে (কান ধরে উঠবস) গ্রহণযোগ্য মনে করি না, এটার জন্য আমরা বিব্রত।আমরা এই ধরণের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।

“একজন শিক্ষককে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করা কিংবা তার প্রতি এই ধরণের আচরণ করা কখনোই কাম্য হতে পারে না।”

শুক্রবারের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যানদী গ্রামের এ ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

তবে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হয়নি।

‘ভালোবাসার প্রস্তাবে’ শিক্ষার্থী বহিষ্কার নিয়ে খোঁজ

ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ঢাকা কমার্স কলেজের দুই ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনার বিষয়ে পুরো তথ্য জানা নেই বলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না এই জন্য যে, বিষয়টা সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য এমন একটা অবস্থায় আছি। কমার্স কলেজে ঘটনা হয়েছে- সেটাকেও আমরা খোঁজ খবর নিতে বলবো।”

সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় কয়েকজন শিক্ষার্থী হাতে হাত ধরে একটি মানববৃত্ত তৈরি করে। সেখানে হাঁটু গেড়ে একটি ছেলে একটি মেয়েকে একটি আংটি পরিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি তাতে রাজি হয় এবং পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে।

এর পর দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।