পানামা পেপার্সের বাংলাদেশিদের নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক

বহুল আলোচিত পানামা পেপার্সের নথিতে নাম থাকা বাংলাদেশিদের বিষয়ে একটি অনুসন্ধান দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2016, 01:52 PM
Updated : 10 May 2016, 02:17 PM

মঙ্গলবার ঢাকায় দুদক কার্যালয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “এ বিষয়টি অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে আমরা একটা টিম করে দিয়েছি, সেই টিম কাজ করছে। অনুসন্ধানাধীন বিষয়ে এর চেয়ে বেশি বলার সুযোগ নেই।”

এর আগে সোমবার রাতে পানামা পেপার্স নিয়ে প্রকাশিত একটি তথ্যভাণ্ডারে অন্তত ১৮ বাংলাদেশির পাওয়া যায়, যারা বিদেশি ঠিকানা ব্যবহার করে শেল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হয়েছেন।

দি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্শিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিং জার্নালিস্টস (আইসআইজে) ফাঁস করা পানামা পেপার্স থেকে দুই লাখের বেশি অফশোর কোম্পানি, ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশনের ওই তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ কর।

একই সঙ্গে মোস্যাক ফনসেকার মতো আরও দুটি ফার্মে নিবন্ধিত এক লাখের বেশি কোম্পানি, ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০১৩ সালে ফাঁস করা এই ‘অফসোর লিকস’র তথ্যভাণ্ডারেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাফর উল্যাহ ও নীলুফার জাফর উল্যাহর নাম রয়েছে।

পানামার ল’ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার গোপন নথিতে বিশ্বের রথী-মহারথীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের নাম থাকার বিষয়টি আলোচনায় এসেছিল গত এপ্রিল মাসেই।

এর প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য ৭ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক আখতার হামিদ ভূঁইঞার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করে দুদক।

দলের অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান ও উপ সহকারী পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত।

বিশ্বের মোট ২১টি কর অঞ্চলে নিবন্ধিত তিন লাখের বেশি অফশোর কোম্পানি, ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশনে যাদের নাম এসেছে, তারা আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন- এমনটা বলছে না আইসিআইজে, তবে অর্থ পাচার করতে বা কর ফাঁকি দিতে আইনের ফাঁক ফোকর খুঁজেছেন অনেকেই।

এ প্রেক্ষিতে পানামা পেপার্সের নথিতে নাম থাকা বাংলাদেশিদের কতজন আইন ভেঙে সম্পদ গড়েছেন বা শেল কোম্পানির শেয়ার হোল্ডার হতে তাদের কেউ কর ফাঁকি দিয়েছেন কিনা সেটি দুদকসহ অভ্যন্তরীণ কোনো সংস্থার অনুসন্ধান বা তদন্তের পর বলা যাবে।