সাত সদস্যের ওই কমিশন সম্প্রচারকারীদের জন্য একটি সহায়ক নির্দেশিকা তৈরি করবে।
এ নির্দেশিকা ছাড়াও জাতীয় সম্প্রচার নীতি এবং কোড অব ইথিকস যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করবে কমিশন।
সম্প্রচার কমিশন সম্প্রচারের লাইসেন্স ছাড়াও সম্প্রচার যন্ত্রপাতির লাইসেন্স দেবে।
দেশের নিরাপত্তা এবং অখণ্ডতার প্রতি সম্ভাব্য হুমকি, দেশের শান্তি, ঐক্য বা জনশৃঙ্খলা বিনষ্টের আশংকা সৃষ্টি, অশ্লীল এবং মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক তথ্য পরিবেশন করলে কমিশন নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেবে।
খসড়া অনুযায়ী, সম্প্রচার কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনের বিধানাবলী, বিধিমালা বা কমিশনের আদেশ-নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে তিন মাস কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
“এছাড়া অপরাধ সংঘটন চলমাল রাখলে অপরাধ চলমান প্রতিদিনের জন্য অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।”
আইন অনুযায়ী সম্প্রচার কমিশনকে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের কর্মরত সংবাদকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওয়েজবোর্ড গঠন করে এ বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ দিতে হবে।
কমিশনের অনুমতি ছাড়া সম্প্রচার লাইসেন্স হস্তান্তর করলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে।
১৪ পৃষ্ঠার খসড়া সম্প্রচার আইনে সম্প্রচার কমিশন গঠন, কমিশনারদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, মেয়াদ, পদত্যাগ, অপসারণ, পদপর্যাদা ও পারিশ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সম্প্রচার কমিশনের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর নিয়েও খসড়া আইনে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আগামী ৪ মে পর্যন্ত তথ্য সচিবকে (সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়, ভবন নং-৪, বাংলাদেশ সচিবালয়) চিঠি দিয়ে অথবা secretary@moi.gov.bd, tv2@moi.gov.bd তে ই-মেইল করে নাগরিকরা মতামত জানাতে পারবেন।