রিজার্ভ চুরি মামলায় সময় বেড়েছে তদন্ত প্রতিবেদন জমার

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে এক মাসের বেশি সময় বাড়িয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2016, 07:12 PM
Updated : 19 April 2016, 07:12 PM

ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম সিআইডির আবেদনে মঙ্গলবার এ আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন মহানগর হাকিম আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল আহমেদ।

বিশ্বজুড়ে আলোচিত এই চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২২ মে দিন ঠিক করেন বিচারক।

এর আগে গত ১৬ মার্চ দেওয়া এক আদেশে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৯ এপ্রিল ধার্য করা হয়েছিল।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট মেসেজের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের সঞ্চিত অর্থ থেকে দশ কোটি ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে বলা হয়।

শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ডলারের অধিকাংশই জুয়ার আখড়া হয়ে দেশটি থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে গণমাধ্যমের খবর।

ঘটনার প্রায় এক মাস পর মার্চের শুরুতে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের একাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে করা এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।

চুরির জন্য হ্যাকারদের দায়ী করে করা মামলাটিতে আসামির তালিকায় কারও নাম নেই। 

তবে এক মাসের বেশি সময় তদন্তের পর ঘটনায় সম্পৃক্ত অভিযোগে ফিলিপিন্স ও চীনের নাগরিকসহ ২০ বিদেশিকে শনাক্ত করার কথা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে জানান সিআইডির তদন্ত দলে থাকা অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ আলম।

এ ঘটনায় ফিলিপিন্সের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ (এএমএলসি) ও দেশটির সিনেট তদন্ত কমিটি অনুসন্ধান শুরুর পর রিজার্ভ চুরির অর্থ থেকে পাওয়া প্রায় ৯৮ লাখ ডলার ইতোমধ্যে এএমএলসি’র কাছে জমা দিয়েছেন ক্যাসিনোর জাংকেট অপারেটর কিম অং।

ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষের তোড়জোড়ে রিজার্ভের এই অর্থ উদ্ধার হলেও পুরো পাওয়া যাবে কিনা- সিনেট কমিটির শুনানিতে যেসব তথ্য বের হয়ে এসেছে তাতে সেটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।