বুধবার রাতে ভূকম্পনের পর বিভিন্ন অপারেটরের একাধিক গ্রাহক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তখন চেষ্টা করেও ফোন করা যাচ্ছিল না।
কী কারণে এই সমস্যা হয়েছিল- জানতে চাইলে একটি অপারেটরের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর একযোগে সবাই মোবাইল ফোনে অন্যজনের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
“এর ফলে একযোগে সুইচিং সেন্টারগুলোতে চাপ পড়ায় কল আদান-প্রদানের সমস্যা দেখা যায়। তবে কয়েক মিনিট পরই তা স্বাভাবিক হয়ে আসে।”
রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে থেকে থেকে কম্পন অনুভূত হতে থাকে রাজধানীতে। উঁচু ভবনগুলো দুলতে থাকায় অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
ওই সময় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বজনদের খোঁজ জানতে ব্যতিব্যস্ত দেখা যায় নগরবাসীকে।
ভূমিকম্পে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ঢাকার মগবাজারের একটি মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিশু আহত হয়েছেন। সিলেটে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। চট্টগ্রামে কয়েকটি ভবনে হেলে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার এই ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৩৪ কিলোমিটার গভীরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ বলেন, “এটা ছিল শক্তিশালী ভূমিকম্প। নিকট অতীতে আমাদের আশপাশে শুধু নেপালে এর চেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল।”