এজন্য কমিশনের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূইঞাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল।
গত রোববার ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্শিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) মোস্যাক ফনসেকার গত ৪০ বছরের নথি প্রকাশ করে, যাতে তাদের অসংখ্য মক্কেলের নাম ফাঁস হয়ে যায়।
এই মক্কেলদের মধ্যে রয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন, সৌদি বাদশাহ সালমান, আমিরাতের আমির খলিফা বিন জায়েদ বিন সুলতান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বাবা, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগীর নাম রয়েছে।
বলা হচ্ছে, করজাল এড়িয়ে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়তে, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশে লুটের টাকা বিদেশে পাঠাতে মোস্যাক ফনসেকার পরামর্শ নিয়েছেন তারা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সন্তান, বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম এলেও আইসিআইজের এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা নথিতে কোনো বাংলাদেশির নাম পাওয়া যায়নি।
তবে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে পানামা পেপার্সে কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছেন দাবি করে তাদের নাম প্রকাশ করে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান ও উপ সহকারী পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাত।
দুদক সচিব মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশের যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“টিম গঠন করা হয়েছে। আশা করছি, রোববার থেকে কাজ শুরু করতে পারব। অনুসন্ধানের প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে এমএলএআর (মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স রিকোয়েস্ট) পাঠিয়ে বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।”