মগবাজার ফ্লাইওভারের ত্রুটি খুঁজতে সংসদীয় কমিটি

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের পরিকল্পনায় কোনো ত্রুটি আছে কি না- তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2016, 01:04 PM
Updated : 31 March 2016, 01:04 PM

বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এজন্য তিন সদস্যের একটি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের একাংশের উদ্বোধন করেন। এরপর সে পথ খুলে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচলের জন্য।

আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা। তিন দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়। নির্মাণ কাজের মধ্যেই নকশায় ত্রুটি নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, সমালোচনা। 

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির পরিকল্পনায় কোনো ত্রুটি আছে কি না- তা খতিয়ে দেখতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং সামশুল হক চৌধুরী ও মুহিবুর রহমান মানিককে সদস্য করে উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শওকত আলী, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, মো. তাজুল ইসলাম এবং নিলুফার জাফর উল্লাহ অংশ নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা শহরে নির্মিত বিভিন্ন ফ্লাইওভারের পরিকল্পনা সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে প্রায়ই এসবের শেষ প্রান্তে অবর্ণনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়; যা জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নির্মানাধীন মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের পরিকল্পনায় কোনো ত্রুটি ছিলো কিনা, থাকলে তাতে কারা জড়িত- তা পর্যবেক্ষণে ওই কমিটি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা গাড়ির বাঁ দিকে স্টিয়ারিংয়ের কথা মাথায় রেখে বিদেশি প্রকৌশলীর করা নকশায় নির্মাণাধীন এই উড়াল সড়কে ওঠা-নামার র‌্যাম্প জটিলতার পাশাপাশি আরও কিছু ত্রুটির কথা বলছেন।

এসব ত্রুটি রয়ে যাওয়ার জন্য গেল দশকের প্রথমার্ধে করা নকশা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে যাওয়ার আগে দেশীয় পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে পরামর্শ, স্বতন্ত্র কোনো বিশেষজ্ঞকে দিয়ে যাচাই ও গণশুনানি না করাকে চিহ্নিত করেছেন তারা।

সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে উপ-কমিটির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নিয়ে কিছু কথা হয়েছে। সেজন্য আমরা দেখতে চাই এর পরিকল্পনা কারা করেছে, কীভাবে করেছে। এই ফ্লাইওভার আরেকটু দীর্ঘ করা যেত কি না- সেটাও দেখা হবে।

“এছাড়া অন্যান্য ফ্লাইওভার নিয়েও আমরা পর্যালোচনা করব।”

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে কর্মদক্ষতা অর্জন ও তা প্রয়োগের সুবিধার্থে প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মকর্তা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পদায়ন রাখার সুপারিশ করা হয়।