ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত চার জেলায় গোলযোগ ও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও প্রথম চার ঘণ্টায় ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ‘স্বস্তিতে’ নির্বাচন কমিশন।
Published : 22 Mar 2016, 12:25 PM
চারজন নির্বাচন কমিশনার মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিভাগ ভিত্তিক ইউপি ভোটের খবর নেন। এ পর্যন্ত অন্তত ১৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়েছে বলে তাদের একজন জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ বলছেন, ‘কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ ঘটলেও সব জায়গায় উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে।
দিন শেষে ভোট পড়ার হার ৬০ শতাংশের বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
বেলা ১২টায় আবু হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটের আগে প্ররণাকে কেন্দ্র করে যেমন শঙ্কার কথা বলা হয়েছে, আসলে ততোটা হয়নি। প্রথম চার ঘণ্টায় ভালো পরিবেশে ভোট হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। সবখানে ঠিক মতো ভোট চলছে।”
স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে তৃণমূলের এই নির্বাচনে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হওয়ায় সহিংতার শঙ্কা ছিল বিভিন্ন মহলে।
সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে দুই নির্বাচনী কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। সাতক্ষীরায় গোলযোগের পর তিন কেন্দ্র বাতিল এবং ১৬টিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও বোমাবাজির খবর পাওয়া গেছে।
এবার নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি থাকার তথ্য পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
বেলা ১২টার পর ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকা চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে খবর নিতে দেখা যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে, যিনি আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছিলেন। আর ওই নির্বাচন কমিশনাররা আছেন নিচতলায়।
কাজী রকিবের কাছে ভোট পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী ও শাহনেওয়াজ।
“আমি ঢাকা ও ময়নসিংহ বিভাগের অন্তত আটজন জেলা প্রশাসকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি। মুন্সীগঞ্জের একটি ইউপির এক কেন্দ্রে গোলযোগের তথ্য পেয়েছি। অনেক এলাকায় ইতোমধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে তথ্য পাচ্ছি, দিনশেষে দেখা যাক কেমন হয়।”
তিনি ঢাকা ও ময়মনসিংহ, আবদুল মোবারক রংপুর ও রাজশাহী, জাবেদ আলী সিলেট ও চট্টগ্রাম এবং শাহনেওয়াজ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ভোট পরিস্থিতি তদারক করছেন।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটে ইসির ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু হাফিজ বলেন, “রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিতে পারে, আমরা এ নিয়ে মন্তব্য করব না। যেসব অভিযোগ পাচ্ছি, সারবত্তা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
“অনিয়ম-সংঘর্ষ হলে আজকের ভোটের ৭১৭ ইউপির মধ্যে অর্ধেক বন্ধ হলেও অসুবিধা নেই। কেউ কেন্দ্র দখল, অনিয়মের চেষ্টা করলেই বন্ধ করে দেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।”
জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সচিব রেজাউল করিম ভুইয়া সকালে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের কাছে কেন্দ্র দখলের লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
কুমিল্লা এলাকার কয়েকটি ইউপিতে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।