নিউরোসার্জন রশিদ উদ্দিন আর নেই

দশ দিনের অচেতন অবস্থা থেকেই পৃথিবীর মায়া ছাড়লেন দেশের প্রথম নিউরোসার্জন রশিদ উদ্দিন আহমদ (৭৯)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2016, 03:25 PM
Updated : 19 March 2016, 05:36 PM

সত্তরে তিনিই ছিলেন দেশের একমাত্র নেউরোসার্জন। ড. রশিদের হাতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি) নিউরোসার্জন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ড. কামরুন নাহার এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন। তার মেয়ের নাম রাশিদা আহমদ ও ছেলে রেজা আহমদ।

রাশিদা আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ৮টার দিকে তার বাবা মারা গেছেন।

৯ ফেব্রুয়ারি এমেরিটাস অধ্যাপক রশিদ উদ্দিনের ‘বড় ধরনের’ স্ট্রোক হয়েছিল। এরপর থেকে তিনি  কোমায় ছিলেন।

রোববার সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়ে রাশিদা আহমদ।

তিনি বলেন, নরসিংদীর গ্রামের বাড়িতে জোহরের নামাজ শেষে শহীদ গিয়াসউদ্দিন আহমদ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এমেরিটাস অধ্যাপক রশিদ উদ্দিন কয়েক দশক ধরে রোগীদের আস্থায় ছিলেন।

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে অধ্যাপক রশিদকে দেখে তার অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ বলে জানিয়েছিলেন বিএসএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান কনক কান্তি বড়ুয়া।

অধ্যাপক রশিদের ভূমিকা স্মরণ করে কনক বড়ুয়া বলেন, ১৯৭০ সালে নিউরো সার্জারির রোগী দেখা শুরু করেন তিনি।

“সত্তরে তিনিই ছিলেন একমাত্র নিউরোসার্জন। সে সময় গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন তিনি। পাকিস্তানি সেনারাও চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যেত।

“মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার বিষয়টি পাকিস্তানি সেনারা জেনে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বরে তাকে দেশ ছাড়ার আহ্বান জানান কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তখন তিনি আগরতলা যান।”

স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে রশিদ উদ্দিন বিএসএমএমইউয়ে (তৎকালীন আইপিজিএমআর) নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করেন বলে জানান অধ্যাপক কনক।

“তার উৎসাহেই ঢাকা মেডিকেল কলেজেও নিউরোসার্জারি বিভাগ খোলা হয়। শুরুর দিকে সেখানে গিয়েও ক্লাস নিতেন তিনি।”