“এরপর আর উনার চেতনা ফেরেনি। কোমায় ছিলেন এবং গত সপ্তাহে উনার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এখন উনার অবস্থা খু্বই সংকটাপন্ন।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এমেরিটাস অধ্যাপক রশিদ উদ্দিন সেখানে নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করেন। ৭৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক কয়েক দশক ধরে রোগীদের আস্থায় ছিলেন।
মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি অধ্যাপক রশিদকে দেখে তার অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ বলেছেন বিএসএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান কনক কান্তি বড়ুয়া।
একটি মেডিকেল বোর্ড তার শিক্ষকের চিকিৎসার দেখভাল করছেন বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক রশিদের ভূমিকা স্মরণ করে কনক বড়ুয়া বলেন, ১৯৭০ সালে নিউরো সার্জারির রোগী দেখা শুরু করেন তিনি।
“সত্তরে তিনিই ছিলেন একমাত্র নিউরোসার্জন। সে সময় গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন তিনি। পাকিস্তানি সেনারাও চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যেত।
“মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার বিষয়টি পাকিস্তানি সেনারা জেনে যাওয়ার পর সেপ্টেম্বরে তাকে দেশ ছাড়ার আহ্বান জানান কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তখন তিনি আগরতলা যান।”
স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে রশিদ উদ্দিন বিএসএমএমইউয়ে (তৎকালীন আইপিজিএমআর) নিউরোসার্জারি বিভাগ চালু করেন বলে জানান অধ্যাপক কনক।
“তার উৎসাহেই ঢাকা মেডিকেল কলেজেও নিউরোসার্জারি বিভাগ খোলা হয়। শুরুর দিকে সেখানে গিয়েও ক্লাস নিতেন তিনি।”