আলোচিত যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যার ৩২ মাস পর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
Published : 14 Mar 2016, 06:25 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর সোমবার এই আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের এসআই ফরিদ মিয়া জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না- সে প্রতিবেদন দাখিলে ২৫ এপ্রিল দিন রেখেছেন আদালত।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, মো. আরিফ ওরফে আরিফ হোসেন, মো. ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ, রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, মো. শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ওরফে পাপ্পু ও ফাহিমা ইসলাম লোপা।
২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণী বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ও রিয়াজুল হক মিল্কি
২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর বাদীর আপত্তিতে তদন্তের দায়িত্ব পান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস। তিনি গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আগের অভিযোগপত্রের ১১ আসামির সঙ্গে আরও সাতজনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আর নয়জনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এসএম জাহিদ সিদ্দিক তারেক ওরফে কিলার তারেক, মো. মাহবুবুল হক হিরক, জাহিদুল ইসলাম টিপু, আবুল মোনায়েম মোহাম্মদ আমিনুল এহসান বাবু ওরফে টমেটো বাবু ওরফে ডিস বাবু, এনামুল হক, মাসুম উদ্দিন, আহকাম উল্লাহ, ওয়াহিদুল আলম প্রকাশ আরিফ ভূঁইয়া ও তানজিম মাহমুদ তানিম।
প্রথম অভিযোগপত্রের ক্ষেত্রে বাদীর অভিযোগ ছিল, তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি ‘ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে’ মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে রাখেননি।
২০১৪ সালের ৯ জুন তিনি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, শপার্স ওয়ার্ল্ডের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে এক সময়ের সহযোগী যুবলীগ নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেক এবং তার ভাড়াটে খুনিরাই মিল্কিকে হত্যা করে বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
ঘটনার পর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার তারেক কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।