তারেক-মিশুকের মৃত্যু : হাই কোর্টে ক্ষতিপূরণ মামলার শুনানি শুরু

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা একটি মামলার শুনানি হাই কোর্টে শুরু হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2016, 12:08 PM
Updated : 13 March 2016, 12:08 PM

দুই বছর আগে মানিকগঞ্জ জেলা জজ ও মোটর ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে করা দুটি মোকদ্দমার মধ্যে একটির ওপর রোববার বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হয়।

এদিন মামলার বাদী তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ আদালতে সাক্ষ্য দেন।

বাদী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও মোতাহার হোসেন।

পরে আইনজীবী মোতাহার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার বাদী ক্যাথরিন মাসুদ তার সাক্ষ্যে বলেছেন, ওই ঘটনায় সাত কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”

সোমবার পরবর্তী শুনানির দিন রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা কোনো মোকদ্দমার প্রথমবারের মতো উচ্চ আদালতে শুনানি হচ্ছে এর আগে জানিয়েছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন।

ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা ওই দুটি মোকদ্দমা সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদের আলোকে হাই কোর্টে বদলির জন্য বাদীদের করা আবেদন মঞ্জুর করে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ে মোকদ্দমা দুটি এই বিভাগের (হাই কোর্ট) উপযুক্ত বেঞ্চে পাঠানোর পক্ষে মত দেয়। এজন্য উপযুক্ত বেঞ্চ গঠন বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে দুই মোকদ্দমার নথি ও আদালত বদলির আবেদনের নথি পাঠানো হয়।

এরপর প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জিনাত আরা নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় মোকদ্দমা দুটি ওই বেঞ্চের তালিকায় শুনানির জন্য ওঠে।

২০১১ সালের ১৩ অগাস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীর।

তারেক ও মিশুককে বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ ঘটে। তাতে তারেক-মিশুকসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। দেড় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিনেন্সে ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুটি মোকদ্দমা করেন।

এরপর সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মোকদ্দমা দুটি জনস্বার্থে হাই কোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা।