রাজুর স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধার ফুল, সন্ত্রাস রোখার আহ্বান

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই ছাত্র সংগঠনের গোলাগুলির মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলে গিয়ে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ দেওয়া মঈন হোসেন রাজুর স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2016, 05:49 AM
Updated : 13 March 2016, 05:49 AM

‘নির্বোধ ঘাতক জানে না, মরণেই জীবন থামে না’-এই স্লোগান নিয়ে রোববার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু দিবস পালন করছে সংগঠনটি।

সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন মঈন হোসেন রাজু স্মৃতিফলকে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়।

১৯৯২ সালের এই দিনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের গোলাগুলির মধ্যে টিএসসি থেকে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল বের করে ছাত্র ইউনিয়ন। ওই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজু।

ওই মিছিলে সন্ত্রাসীর বুলেটে প্রাণ হারান মঈন হোসেন রাজু, যার স্মৃতিতে টিএসসিতে গড়ে উঠেছে রাজু ভাস্কর্য।

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তারের নেতৃত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় সংসদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ, রাজু সংসদের নেতাকর্মীরা রাজুর স্মৃতিফলকে ফুল দেন।

রাজুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান তার সেই মিছিলের সাথীরাও।

এছাড়া সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন, রাজু বিতর্ক অঙ্গন  ও পরিবেশ বীক্ষণের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, সাবেক সভাপতি শরীফুজ্জামান শরীফ, সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী সমাবেশে বক্তব্য দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা। 

লাকী আক্তার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ঠেকাতে গিয়ে ১৯৯২ সালে শহীদ হলেও আজও তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। রাজুর খুনিরা এখন জাতীয় রাজনীতিতে সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিত সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করতে হলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দরকার।”