গত ২ মার্চ সালামের বিরুদ্ধে মামলার পর তাকে ১০ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক শামসুল আলম।
বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশিদ আলম তিন দিন রিমান্ডের নির্দেশ দেন।
আদালতে উপস্থিত সালামের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তবে তা হাকিম নাকচ করেন।
সালাম একুশে টিভির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকাকালে বিভিন্ন সময় প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে একুশে টিভির বিজনেস প্রমোশন, বিনোদনসহ বিভিন্ন খাতে ভুয়া বিল দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুদক গত বছরের নভেম্বর থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছিল।
বেসরকারি টেলিভিশনটির সাবেক এই চেয়ারম্যান ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়ে সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন।
২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। পরে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান আসামি করে দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়।
এসব অভিযোগ মাথায় নিয়ে সালাম জেলে থাকার সময় গত বছরের ৮ অক্টোবর এক নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে একুশে টেলিভিশন লিমিটেডের শেয়ার এবং ট্রেডমার্ক, সার্ভিস মার্ক, লোগোসহ এতদসংক্রান্ত সব কিছু কিনে নেয় এস আলম গ্রুপ।
এরপর ২৫ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মণ্ডলীর এক সভায় পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আসে। বর্তমানে একুশে টিভির পরিচালনা পর্ষদে মোহাম্মদ সাইফুল আলম চেয়ারম্যান এবং আব্দুস সামাদ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন।
২০০০ সালের ১৪ এপ্রিল উন্মুক্ত টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন কেন্দ্র হিসেবে সম্প্রচার শুরু করলেও ২০০২ সালের ২৯ অগাস্ট চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে আদালতের রায়ের পর একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর ২০০৫ সালের ১৪ এপ্রিল পুনরায় সম্প্রচারের অনুমতি নিয়ে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসেবে সম্প্রচারে আসে একুশে টিভি।