মন্ত্রীকে তলবের এই আদেশ বাংলাদেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নজির বলেও মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মোজাম্মেল বলেন, “মীর কাসেম আলীর ফাঁসি হবে কি হবে না, আমার সন্দেহ ছিল। ফাঁসি হয়েছে, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
“আমি টেলিভিশন স্ক্রলে দেখেছি আমাকে কোর্টে হাজির হওয়ায় জন্য বলা হয়েছে। আমি কোর্টে যাব, আমার বক্তব্য তুলে ধরব। আদালতের প্রতি পূর্ণ আস্থা আছে।”
জামায়াতে ইসলামীর এই নেতার আপিলের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ রেখে পুনঃশুনানির দাবি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে মোজাম্মেলও তুলেছিলেন।
সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেওয়ার পাশাপাশি এই দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করে।
আদালতে আস্থা প্রকাশ করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেছেন, তিনি সরকারি সফরে বিদেশ যাচ্ছেন বলে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চাইবেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল বলেন, “আজ আমাদের মন্ত্রীকে বলেছে, সরাসরি হাজির হওয়ার জন্য। আমার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছে . . . আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, আমাদের দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আছে।”
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ১৯ জন নারী মুক্তিযোদ্ধাকে আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা প্রদান আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় একথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নারী মুক্তিযোদ্ধাদের এই সহায়তা ও সম্মাননা দেওয়ার আয়োজন করে।