যারা ভাব নিচ্ছেন তারা ভ্রান্ত: অ্যাটর্নি জেনারেল

অনেকেই যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নেওয়ার ‘ভাব নিচ্ছেন’ মন্তব্য করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, তাদের এই ধারণা ‘ভুল’, শেখ হাসিনার ‘দৃঢ়তা না থাকলে’ এই বিচার হত না।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2016, 05:57 AM
Updated : 8 March 2016, 03:54 PM

সব আলোচনা পিছনে ফেলে মীর কাসেম আলীর যুদ্ধাপরাধ মামলার আপিলেও ফাঁসির রায় বহাল থাকার পর রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার এই প্রতিক্রিয়া এলো।

এই রায় সামনে রেখে সরকারের দুইজন মন্ত্রী সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আলাদা বেঞ্চ গঠন করে পুনঃশুনানিরও দাবি তোলা হয়েছিল।

মঙ্গলবার মীর কাসেমের রায় ঘোষণার আগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এক আদেশে দুই মন্ত্রীকে তাদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করেন।

পরে রায় নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই বলে দিয়েছেন, এটা (দুই মন্ত্রীর কথা) সরকারের বক্তব্য নয়।

“বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন ব্যক্তি এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন- তাদের এই ধারণা ভ্রান্ত।”

তার ভাষায়, যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে চলেছে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থানের কারণে।

“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনদিনই শুরু হত না, যদি এই সরকার ক্ষমতায় না আসত,  জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি এই ব্যাপারে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে না এগোতেন।”

যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যারা ভূমিকা রাখছেন তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ‘প্রাণকেন্দ্রে’ রয়েছেন বলেও মন্তব্য অ্যাটর্নি জেনারেলের।

তিনি বলেন, “যিনি (শেখ হাসিনা) সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দিচ্ছেন, আমাদের সকল বিচার এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করছেন।

“কাজেই অন্য কারো, অনেকেই দাবি করেছে, আমরাও দাবি করেছি, কিন্তু নির্বাহী বিভাগে যদি উপযুক্ত লোক না থাকে, এই রকম নেতৃত্ব না থাকে, তাহলে অনেক অন্যায়ের বিচার হয় না।”

যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য সংসদে আইন পাশ এবং তার আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এই বিচারের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় মনোভাব, তিনি এই ব্যাপারে এগোচ্ছেন, সেটা না হলে এটা হত না। 

“যারা নানা রকম মিটিং করেন, আদালত সম্পর্কে নানা রকম বক্তব্য রাখেন, তাদের সব সময় মনে রাখা উচিত- রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে এই বিচার হচ্ছে।”