সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি বন্ধে উকিল নোটিস

নাগরিকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন এক ‘নাগরিক’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2016, 09:57 AM
Updated : 3 March 2016, 10:19 AM

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব ও মোবাইল ফোন অপরারেটসহ ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বুধবার  ফ্যাক্স ও রেজিস্ট্রি ডাকে ওই নোটিস পাঠান খায়রুল হাসান সরকার নামের এক ব্যক্তি, যিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসিন্দা হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।

তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, নোটিস পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করে গণমাধ্যমে তা প্রচার এবং নোটিশদাতাকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে নোটিসে।

ওই দুই সচিব ছাড়া বিটিআরসি, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, গ্রামীণ ফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক  ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বরাবর এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।

ব্যারিস্টার পল্লব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নেওয়া আঙুলের ছাপ কেউ নকল করতে পারে না। জাতীয় পরিচয়পত্রে নির্বাচন কমিশন আঙুলের ছাপ নিয়েছে।

“এখন জবাবদিহিতা ছাড়া পুনরায় সিম নিবন্ধনের নামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নেওয়া অপ্রয়োজনীয় ও বেআইনি। অবলিম্বে এই কার্যক্রম স্থগিত করতেই উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে।”

ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম সরকারি বা কোনো সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হতে হবে। কিন্তু এখানে প্রাইভেট কোম্পানিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা ‘বেআইনি’।

“বিদ্যমান আইন এটি অনুমমোদন দেয় না। এমনকি কোন আইনের ভিত্তিতে বা কোন আদেশের ভিত্তিতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য নিচ্ছে তাও আমরা জানি না।”

এই আইনজীবী বলেন, “বায়োমেট্রিক পদ্ধতির এই নিবন্ধন ব্যক্তি অধিকার ক্ষুণ্ণ করছে। ব্যক্তিগত তথ্য পাবলিক ডোমেইনে দিলে তা অপরাধীরারা  আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে। লিমিটেড কোম্পানি থেকেও তথ্য চুরি হতে পারে। আমার তথ্যের যদি অপব্যাহার হয়, সেক্ষেত্রে আমার আইনগত প্রতিকার কী হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশনা নেই।”