আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলীর করা আবেদনটি সোমবার তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
বিচার বিভাগ ও উচ্চ আদালতের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়- বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর এমন বক্তব্য-বিবৃতি সব গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচার করা থেকে বিরত রাখতে তথ্য সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই রুল চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে।
রুল হলে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তথ্য সচিবের প্রতি ওই নির্দেশনা দেওয়ার আরজিও জানিয়েছেন আইনজীবী জুলফিকার।
তথ্য সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটির (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে বিবাদী রাখা হয়েছে আবেদনটিতে।
অবসরের পর রায় লেখা নিয়ে বিতর্কে বিচারপতি শামসুদ্দিন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করার অভিযোগ তোলার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এই রিট আবেদন হল।
বিচারপতি শামসুদ্দিন বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করছেন দাবি করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিও ইতোমধ্যে তুলেছে বিএনপি।
জুলফিকার আলী সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং টক শো-তে বিচার বিভাগ এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিভিন্ন ‘আপত্তিকর, কটূক্তিমূলক ও মানহানিকর’ বক্তব্য দিচ্ছেন বলে তা প্রকাশ বন্ধে এই রিট আবেদন করেছেন তিনি।
জনমনে বিভ্রান্তি এড়াতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী বিচারপতি শামসুদ্দিনের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার বন্ধ চেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হাই কোর্টে এই আবেদনের শুনানি হবে বলে আশা করছেন রিট আবেদনকারী।