হল-মার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর, জেসমিনের বিচার শুরু

হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামকে ঋণ কেলেঙ্কারির দুই মামলায় অভিযুক্ত করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2016, 12:56 PM
Updated : 17 Feb 2016, 01:06 PM

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বুধবার দুই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য শুরুর জন্য ৩ মার্চ দিন ঠিক করে দেন।

দুদকের দায়ের করা এসব মামলার একটিতে জেসমিন ও তার স্বামী তানভীরসহ আসামি মোট ১৯ জন; অন্য মামলায় ১৮ জন। আসামিদের সবাই শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের অগাস্টে আর্থিক খাতে বড় এই কেলেঙ্কারির ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ওইবছর ৪ অক্টোবরে মোট ১১টি মামলা করা হয়, যার মধ্যে এই দুই মামলাও রয়েছে।

অভিযোগ গঠনের আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক মামলায় সোনালী ব্যাংক থেকে ১৭৩ কোটি এবং অন্য মামলায় ২৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ পাচার, অবৈধভাবে অর্থ হস্তান্তর ও অবৈধ রূপান্তরের অভিযোগে তাদের বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

বাকি নয়টি মামলাতেও এদিন অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসামিপক্ষ মুদ্রাপাচার আইনের একটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যাওয়ার কথা জানানোর পর ওই শুনানি পিছিয়ে যায়।    

তাদের আবেদনে হাই কোর্ট যে আদেশ দিয়েছে তা আগামী ৩ মার্চ জজ আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।   

এদিকে কেবল জেসমিন ইসলামের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের আরেকটি মামলায় এদিন অভিযোগ গঠন করেছে একই আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণের দিন রাখা হয়েছে ৩ মার্চ।

২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর তানভীর, জেসমিনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ১১ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হলমার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে পরিশোধিত (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।