কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করে সহিংসতা ছড়ানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহের মতো অপরাধ করা হচ্ছে- উল্লেখ করে তা নিয়ন্ত্রণে নীতিমালাটি দ্রুত কার্যকরের ওপর জোরও দিয়েছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে কমিটির বৈঠকে নীতিমালাটি নিয়ে আলোচনা জানিয়ে সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ বলেন, “অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালাটির খসড়ার ওপর একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
“নীতিমালার কোনো অংশের বিষয়েই কমিটির কোনো দ্বিমত নেই। তাই কমিটি চায় না, এতে আর কোনো পরিবর্তন আসুক। বরং নীতিমালাটি দ্রুত কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছে কমিটি।”
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “কিছু অনলাইন উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করে সহিংসতা ছড়াচ্ছে, এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা জরুরি।”
চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা অনুসারে, অনলাইন গণমাধ্যম বলতে বাংলা, ইংরেজি বা অন্য কোনো ভাষায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে স্থির ও চলমান চিত্র, ধ্বনি ও লেখা বা মাল্টিমিডিয়ায় অন্য কোনো রূপে উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ বা সম্প্রচারকারী ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝাবে। অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য কোনো ধরনের জামানত রাখতে হবে না।
বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারের জন্য প্রণীত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নে যে কমিশন গঠন করা হবে, সে কমিশনকেই অনলাইন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীকে কটাক্ষ, বিদ্রুপ বা অবমাননা করা যাবে না অনলাইন গণমাধ্যমে। অপরাধ নিবারণ ও নির্ণয়ে বা অপরাধীদের দণ্ড বিধানে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের হাস্যস্পদ করে ও ভাবমূর্তি নষ্ট করে- এমন তথ্য-উপাত্ত প্রচার, প্রকাশ ও সম্প্রচার করা যাবে না। রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ও হিংসাত্মক ঘটনা প্রদর্শন করে- এমন কোনো তথ্যও প্রচার করা যাবে না।
রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, সিমিন হোসেন রিমি ও সাইমুম সরওয়ার কমল। ছিলেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও।