বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
Published : 16 Dec 2015, 02:55 PM
এর ফলে গ্রাহকরা এখন থেকে আর আঙুলের ছাপ ছাড়া নতুন সিম কিনতে পারবেন না।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বুধবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কার্যালয়ে সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১ নভেম্বর। এই সময়ে পদ্ধতিগত সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে বলেও জানান তারানা।
“সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল পরিচয়ের পথে যাত্রা শুরু করলাম,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার থেকে নতুন গ্রাহকদের সিম কেনার সময় সবাইকে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলবে এবং আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে তা শেষ করতে হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, “আমরা উন্নত দেশের কাতারে চলে এলাম এ যাত্রার মাধ্যমে। তারা যেভাবে সবার পরিচয় নিশ্চিত করছে, আমারাও সেভাবে করা শুরু করলাম।”
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে কোনো সমস্যা হলে তা ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করা হবে বলেও অপারেটরদের আশ্বাস দেন বিটিআরসি প্রধান।
গ্রামীণফোনের সিইও রাজীব শেঠি, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস, রবি’র সিইও সুপুন বীরাসিংহেসহ অপারেটরগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী অনুষ্ঠানে জানান, বর্তমানে অপারেটরদের হাতে বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনে ৮১ হাজার ৫০০ ডিভাইস রয়েছে। এ সংখ্যা বাড়িয়ে এক লাখ দুই হাজার করা হবে।
গত ২১ অক্টোবর নিজের নামে একটি সিম নিবন্ধনের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর রয়েছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র হিসাবে গত অক্টোবর শেষ নাগাদ দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে।