পদ্মা সেতু নির্মাণে নদীশাসনের উদ্বোধন

প্রমত্তা পদ্মার দুই তীরকে যুক্ত করতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিয়াজুল বাশার জাজিরা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2015, 05:20 AM
Updated : 12 Dec 2015, 07:03 AM

সরকার আশা করছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু আগামী তিন বছরের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনও চলবে।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের সবচেয়ে বড় প্রকল্প এই পদ্মা সেতু। শনিবার সকালে শরীয়তপুরের জাজিরায় গিয়ে পদ্মার তীরে নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

এ প্রকল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নদী শাসনের এই কাজটি করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন; ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

সকাল পৌনে ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তার জাজিরায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও কুয়াশার কারণে তা বিলম্বিত হয়। এক ঘণ্টা পর নাওডোবা মৌজায় হেলিপ্যাডে নামার পর কয়েকশ গজ দূরে ফলক উন্মোচন করে তিনি নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন।

জাজিরায় একটি সুধী সমাবেশেও বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নৌপথে যাবেন মাওয়ায়।

মাওয়ায় যাওয়ার পথে নদীর মধ্যে সাত নম্বর পিলারের পাইলিং কাজের জায়গাটিও দেখবেন তিনি। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ওই ৭ নম্বর পিলারের মাধ্যমেই শুরু হবে মূল কাজ।

মাওয়ায় পৌঁছে সেখানে মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান। দুপুরের পর মাওয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। 

প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই সেতু দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা।

এ সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে বলে আশা করছে সরকার। 

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আশিক হোসেন]