সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ই-মেইলে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী তারানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফেইসবুকের নানা ধরনের অপব্যবহার ও নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে।
“বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অনেক কিছুই মানহানিকর মনে করে না ফেইসবুক, অনেক সময় দেখা যাচ্ছে কোনো বিষয়ে তাদের অভিযোগ জানালে মামলা করে আসতে বলা হয়। তাদের কাছে অভিযোগ জানালেও তারা আমলে নেয় না, ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের এই সামাজিক অবস্থাগুলো বোঝানো হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ফেইসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে, ফেইসবুক কর্তৃপক্ষের জন্য বিশাল একটি মার্কেট। তাদের ‘গুডইউল’ রক্ষার বিষয়ও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।”
বিষয়টির গুরুত্ব বাড়াতে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি থেকেও এই ধরনের চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে ফেইসবুকের সঙ্গে সরকারের কোনো চুক্তি নেই। চিঠির জবাব পাওয়ার পর আলোচনার বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
“আলোচনার পর একটি ড্রাফট তৈরি করে একটি চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই চুক্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সরকারের সঙ্গে আলোচনার পরই করা হবে।”
বাংলাদেশে বর্তমানে ফেইসবুকসহ কয়েকটি অ্যাপ বন্ধ রেখেছে সরকার।
তবে এই চিঠির সঙ্গে ফেইসবুক খুলে দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পেলেই খুলে দেওয়া হবে।”
এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমাদের এখানে কিছু হচ্ছে না। তারপরও হুমকি-ধমকি হচ্ছে। আমরা সেজন্যই এটাকে (ফেইসবু) সাময়িক ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা শেষ হলেই খুলে দেব।”
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেইসবুকসহ কয়েকটি যোগাযোগ অ্যাপ বন্ধ করার পর বিকল্প পন্থায় ব্যবহার করা যাচ্ছে বাংলাদেশে।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বন্ধ করা হলেও কবে নাগাদ এই মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করেনি সরকার।