বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে আইএসের দায় স্বীকারের কথা বলা হয়েছে। এর আগে ঢাকায় ইতালীয় ত্রাণকর্মী চেজারে তাভেল্লা ও রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার পরও আইএসের দায় স্বীকারের কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
এদিকে আইএসের মাসিক পত্রিকা ‘দাবিক’ এ বাংলাদেশে তাদের ‘খিলাফত’ ঘোষণার কথা বলা হয়েছে।
তাদের ‘খিলাফত’র মুজাহিদরা তাভেল্লা ও হোশিকে হত্যা এবং পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে এতে দাবি করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও ইসলামী জঙ্গিরা ‘বেঙ্গল ইন খিলাফত’র মুজাহিদ হিসেবে কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
তাদের এই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে জাপানের বিভিন্ন গণমাধ্যম কুনিও হোশি হত্যায় আইএস দায়ী বলে খবর প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়, গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানে কমিউনিস্টবিরোধী ‘জিহাদ’ শেষ হওয়ার পর মুজাহিদরা নতুন জিহাদ ফ্রন্ট খোলার লক্ষ্য নিয়ে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যান, যাদের মধ্যে বাংলার যোদ্ধারাও ছিলেন। তবে অনেকে ভুল পথে চলায় নব্বই শতকের শেষ দিকে ‘আল্লাহর আশির্বাদপুষ্ট’ শায়খ আব্দুর রহমান জেএমবি প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত তা বিলম্বিত হয়।
২০০৫ সালের ২১ অগাস্ট দেশব্যাপী জেএমবির বোমা হামলার কথা উল্লেখ করে এতে শায়খ রহমানকে উপ-মহাদেশের ১৯তম জিহাদি নেতা বলা হয়।
তাদের তৎপরতার সময় বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোয় জিহাদি প্রচারের ফলে তাদের অনেক সদস্য হয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৭ সালে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজনের ফাঁসির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জেএমবির মাধ্যমে ‘ইসলামের শত্রুদের’ ধ্বংস করার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ নিয়ে বলা হয়, ‘নাস্তিক’ ব্লগারদের বিরুদ্ধে ‘জিহাদি’ আন্দোলন হলেও নেতৃত্ব না থাকায় তা বিভক্তিতে পড়ে।
“এসব কারণে ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশে খিলাফতের যাত্রা করে, যেখানে ইসলামিক গোষ্ঠীগুলোর কর্মীরা অংশ নিচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ‘ভুলভাবে’ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে অভিযোগ করে দাবিক-এ বলা হয়, “শরীয়াহ আইন চালু না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে খিলাফতের সৈন্যরা ইহুদি দেশের নাগরিক ও কাফিরদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখবে।”