বুধবার সালাউদ্দিন কাদেরের রিভিউ আবেদন খারিজের পর প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এ রায় প্রত্যাশিত ছিল। আমরা সন্তুষ্ট।”
রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে বলেও প্রত্যাশাও করেন সত্তরোর্ধ্ব প্রফুল্ল সিংহ।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে যে কয়টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, তার মধ্যে রাউজানের কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্রকে হত্যাও রয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে রাউজানের গহিরার কুণ্ডেশ্বরীতে নিজ বাড়ির মন্দিরের সামনে হত্যা করা হয় দানবীর নূতন চন্দ্রকে। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের নিজেই নূতন চন্দ্রকে গুলি চালিয়েছিলেন।
রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ওঊনসত্তরপাড়ায় হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে অপহরণ করে খুনের চার অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয় মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে গত ২৯ জুলাই আপিল বিভাগও মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ৩০ সেপ্টেম্বর।
সালাউদ্দিন কাদের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে মঙ্গলবার তাও খারিজ হয়ে যায়। এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন চট্টগ্রামের সাবেক এই সংসদ সদস্য। তা নাকচ হলে তাকে যেতে হবে ফাঁসি কাষ্ঠে।