নেতৃত্ব পেতে ‘নেত্রীর’ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্বাচিপ

এক যুগ পর সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় মাঝপথে আটকে গেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2015, 12:48 PM
Updated : 13 Nov 2015, 12:56 PM

শুক্রবার সকালে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত এই পেশাজীবী সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করে নতুন নেতৃত্ব নিজেদের নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই বিকালে সম্মেলন মুলতবি ঘোষণা করেন আয়োজকরা।

স্বাচিপের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা সম্মেলন মুলতবি করে দিয়েছি। নেতৃত্ব নির্বাচনে সবাই একমত হয়েছে, নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন সবাই তা মেনে নেবেন।”

দুই বছর অন্তর সংগঠনে নতুন নেতৃত্ব আসার কথা থাকলে স্বাচিপের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৩ সালে। সে সময়ও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন সভাপতি হিসেবে আ ফ ম রুহুল হকের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাচিপের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা নিজেদের নেতৃত্ব নিজেরাই নির্বাচিত করবেন।”

উদ্বোধনের পর সম্মেলনের মূল কার্যক্রম বিকাল ৩টার পর শুরু হয় জানিয়ে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, “বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।

“সম্মেলনের আগে কার্যকরী পরিষদের মিটিয়েও সবার মত এসেছে নেত্রীর সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।”

স্বাচিপের সভাপতি পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং বর্তমান কমিটির মহাসচিব ইকবাল আর্সলানের নাম আলোচনায় রয়েছে।

আর মহাসচিব পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে সংগঠনের নেতা ডা. এমএ আজিজ, ডা. উত্তম বড়ুয়া ও ডা. এম নজরুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।

স্বাচিপের নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ১০১। তবে এবার তা বাড়িয়ে ১৫১ করার প্রস্তাব রয়েছে।

সংগঠনটির এবারের কাউন্সিলে ভোটার ছিলেন ১৩ হাজার।

বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৩ সালে স্বাচিপের যাত্রা শুরু হয়।