হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
এর ফলে তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুই ভাই আগাম জামিনের আবেদন করলে গত ১৪ জুলাই হাই কোর্ট তাদের দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলে তাদের হয়রানি ও গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেয়।
৯ জুলাই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন রানা ও মুক্তি।
পরে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যায়। ২১ জুলাই অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতির আদালতে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে হাই কোর্টের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত হয়।
এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে যায় ও রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে, যার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত নিষ্পত্তি করে আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। রানা ও তার ভাইয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আব্দুল হাই।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজ পাড়ার বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
হত্যার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে নাহার কারো নাম উল্লেখ না করলেও পরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের খান পরিবারের চার ভাই এ হত্যায় জড়িত।
খান পরিবারের দুই ঘনিষ্ঠ আনিসুল ইসলাম (রাজা) এবং মোহাম্মদ আলীও গত বছরের অগাস্টে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফারুক হত্যায় চার ভাইয়ের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন।
সাংসদ আমানুরের তিন ভাইয়ের মধ্যে সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এবং সানিয়াত খান বাপ্পা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা।