বর্তমানে এ সংখ্যা ৯ কোটি ৬২ লাখের মতো।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হালনাগাদে তিন বছরের মধ্যে ভোটার হবে এমন ৬৭ লাখ নাগরিকের তথ্য পাওয়া গেছে। মিলেছে ৭ লাখ মৃত ব্যক্তির তথ্যও।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোটারযোগ্য নাগরিকদের ছবি তোলার কাজ হবে। এরপর ‘বয়স আঠারো’ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে।
তথ্য সংগ্রহের এসব খুঁটিনাটি শিগগিরই ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্ভুল তালিকা করতে আমরা নিবন্ধন শেষ হওয়া পর্যন্ত সবার সহযোগিতা চাইছি।”
কাজ শুরুর আগে ইসি ২০১৬ সালে ভোটার হবে এমন ২৪ লাখ এবং ২০১৭-১৮ সালে ভোটারযোগ্য ৪৮ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু কমিশনারদের মতবিরোধ ও আদালতের রুলের কারণে ভোটারযোগ্য নাগরিকদের এ লক্ষ্য উলট-পালট হয়ে গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৭ বছর বয়সী ৪২ লাখের তথ্য সংগ্রহ হয়েছে। উল্টোদিকে ১৫-১৬ বছর বয়সীদের তথ্য মিলেছে মাত্র ২৫ লাখ।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হালনাগাদে ১৫-১৬ বছর বয়সীদের অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে ১৭ বছর বয়সীদের সংখ্যা বাড়ছে।”
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “এ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। কারণ, প্রকৃতরা ভোটার হতে পারছে।”
সচেতনতা ও প্রচারণার ‘কিছুটা’ অভাব, সব বাড়িতে না যেতে পারা, নারীদের অনাগ্রহ ও পরে ভোটার হওয়ার প্রবণতায় ১৫-১৬ বছর বয়সীদের সংখ্যা কম হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন সচিব আরো বলেন, যারা এখনো ভোটার হতে পারেননি তারা স্ব স্ব উপজেলার নির্বাচন অফিসে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন।