‘প্রভাবশালীদের প্রশ্রয়ে বাঘ শিকারী ও পাচারকারীরা’

রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থাকায় বাঘ শিকারী ও পাচারকারীরা সামাজিকভাবে অনেক শক্তিশালী বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2015, 03:42 AM
Updated : 5 Oct 2015, 03:42 AM

বাঘ রক্ষায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রভাবশালীদের কারণে অনেক সময় কাজ করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা, শিকারী প্রাণী ও আবাসস্থল পরিবীক্ষন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বন বিভাগ বাঘ রক্ষায় কাজে করে যাচ্ছে জানিয়ে মঞ্জু বলেন, “অনেক আগে থেকে বাঘ রক্ষায় কাজ চলছে। নানা উদ্যোগও আছে এ কাজে। কিন্তু সামাজিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে অনেক সময় সেখানে কাজ করা যায় না। এজন্য তাদেরকে আস্থায় আনতে হবে।”

পরিবেশ রক্ষায় দাতাদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা জানি না, কারা আমাদের বন্ধু, আর কারা শত্রু। দেশিয় সম্পদের পাশাপাশি দাতাদের অর্থ দিয়ে আমরা বন্যপ্রাণী এবং পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি।”

বন্যপ্রাণী রক্ষাকে ‘বৈশ্বিক সমস্যা’ হিসাবে আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, “সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বন্যপ্রাণী নানা সমস্যায় রয়েছে। আমাদের এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে। ”

ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশের বন বিভাগ ও ভারতের বন্যপ্রাণী ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বর্তমানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে মাত্র ১০৬টি।

ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার অধ্যাপক ওয়াই ভি ঝালা বলেন, “অন্য প্রজাতির বাঘ বাড়ানো গেলেও সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাইরে থেকে আনা সম্ভব নয়। এজন্য এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে যাতে এখানে বাঘের সংখ্যা আর না কমে।”

বাংলাদেশ এবং ভারত যৌথভাবে সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ এলাকায় জরিপ চালিয়েছে বলে জানান তিনি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, ইউএসএইড বাংলাদেশের উপপ্রধান ক্যাথি ডি ওয়াসেলা প্রমুখ।