মেধাস্বত্বে কড়াকড়ি পর্যালোচনার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মেধাস্বত্ব আইন পর্যালোচনা করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2015, 08:03 AM
Updated : 27 Sept 2015, 01:07 PM

শনিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক এক আলোচনার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখনকার আইপিআর (মেধাস্বত্ব বিধি) নতুন করে পর্যালোচনা করা দরকার, যাতে মানুষ কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলো গ্রহণ করতে পারে।”

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এই আলোচনায় বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেলের সঙ্গে কো-চেয়ার ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা আগামী ১৫ বছরের জন্য গৃহীত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন সহজ করতে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “মানুষের আশাকে এখন আমাদের বাস্তবে রূপ দিতে হবে। আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে অনেক দেশের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে এর জন্য পরিবেশ তৈরি করতে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।”

উন্নয়নের জন্য সীমিত প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।

বিশ্বনেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও যে উন্নয়নের সুফল পায়, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।”

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী, আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আরও অনেকে এ আলোচনায় অংশ নেন।

দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা শনিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলন কেন্দ্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ে এক গোলটেবিল আলোচনাতেও অংশ নেন।

টেকসই উন্নয়ন এবং বিশ্বে সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের খবর।   

উন্নয়নের নতুন লক্ষ্যের (এসডিজি) সঙ্গে দক্ষিণের দেশগুলো ‘বিশেষভাবে’ যুক্ত মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পরও এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এখনও অসমতা, শিক্ষায় অনগ্রসরতা এবং অনুন্নয়নের মতো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগ বাড়াতে দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন নতুন নতুন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখছি। ব্রিকস ব্যাংক এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এ উন্নয়নেরই ফল।”

অস্থিতিশীল বিশ্ব নিরাপত্তা ও জঙ্গিবাদকে দক্ষিণের দেশগুলোর টেকসই উন্নয়নের পথে ‘বড় হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন।