নোয়াখালীর সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “মূল সেতুর ৩টি টেস্ট পাইল, ভায়াডাক্ট এর চারটি টেস্ট পাইল এবং ২৮টি অ্যাঙ্কর পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন হয়েছে।”
সেতুর কাজের জন্য ২৪শত টন ক্ষমতার পাইল ড্রাইভিং হ্যামার জার্মানি থেকে এবং ১ হাজার টন ক্ষমতার ফ্লোটিং ক্রেইন চীন থেকে এসে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।
“পাইল নির্মাণে ১২ হাজার ৪০০ টন স্টিলপ্লেট সাইটে পৌঁছেছে। আরও ৯ হাজার স্টিলপ্লেট চট্টগ্রাম থেকে এবং ৭০০০ টন স্টিলপ্লেট চীন থেকে সাইটের পথে রওনা হয়েছে।”
এই বর্ণনা দিয়ে মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ১৩ শতাংশ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী, যে সেতুর উপর দিয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে চলাচল শুরুর আশা করছে সরকার।
পুনর্বাসন স্থানে ১৩৩১টি প্লট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬২টি প্লট ভূমিহীন ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি জানান, সেতুর জাজিরা সংযোগ সড়কের ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ৪৮ শতাংশ, মাওয়া সংযোগ সড়কের ভৌত অগ্রগতি ৫০ শতাংশ, সার্ভিস এরিয়া-২ এর ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ৪৬ শতাংশ, নদীশাসন কাজের ভৌত অগ্রগতি সাড়ে ৮ শতাংশ।
পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্তে প্রকল্প এলাকায় ৬৭ হাজার ৫৫০টি গাছ লাগানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রকল্প এলাকায় একটি জাদুঘর স্থাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।