সোমবার বিটিআরসিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “১৩ কোটি সিমের রি-রেজিস্ট্রেশন করা হবে না।”
গত তিন মাস ধরে সিম পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়া চলছে।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই নাগাদ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ।
সুনীল কান্তি বলেন, রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে।
“সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। বৈঠকে বলা হয়েছে, অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করতে হবে। ১৩ কোটি সিমের মধ্যে সবই ভুয়া সিম বলে আমি মনে করি না।”
অনিবন্ধিত মোবাইল সিম অপরাধীদের ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে তা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। অনিবন্ধিত সিম ধরতে অভিযানেও নেমেছেন নতুন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বিটিআরসি প্রধান বলেন, “সিম রিটেইলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই বা প্রকৃত ব্যবহারকারী নয় এমন গ্রাহকের নামে সিম বিক্রি করে থাকে। গ্রাহকদের বলা হচ্ছে, এসব সিম পুনরায় নিবন্ধন করে নিন, না হলে যাচাই করার সময় সেসব সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
“এটি আগের নির্দেশনার ধারাবাহিকতা। যাদের সঠিকভাবে নিবন্ধিত রয়েছে, তাদের পুনরায় নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই।”
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে অপারেটরদের প্রবেশের সুযোগ না থাকায় তারা সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে পারছে না বলে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সুনীল বোস বলেন, “অপারেটররা এটাকে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কারণ এটি কঠিন কাজ। যে সস্তা দামে সিম বিক্রি করা হয়েছে, এই বিষয়টাকে কন্ট্রোল করতে অনেক লোক নিয়োগ করতে হয়, অনেক মূল্য পড়ে। তাহলে একটা সিমের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এসব কারণে তারা করতে পারেনি।”
কবে নাগাদ নিবন্ধনহীন সিম বন্ধ হচ্ছে বা পুনঃনিবন্ধনের সময় কতদিন অব্যাহত থাকবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিটিআরসির বিদায়ী চেয়ারম্যান বলেন, “তিন মাস ধরে চলছে, তারা এই নিবন্ধন করে নিক। এর পর তো বন্ধ হয়ে যাবে।”
নিবন্ধনহীন মোবাইল সিম বন্ধ করা হবে বলে এর আগে কয়েকটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
গত বছর মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর অনিবন্ধিত সব সিম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।