এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওই তালিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও দৃশ্যত প্রশ্ন তুলল।
“অনেকের নাম আছে। অনেকে ইমোশনালি নাম দেয় যে এটা হতে পারে। এটা হতে পারে, বা হতে পারে না, তা তো তদন্তের বিষয়। তদন্তে প্রমাণ তো পেতে হবে,” বলেন আসাদুজ্জামান কামাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মিলনায়তনে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য বদির ইয়াবা পাচারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।
গত বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের করা একটি তালিকায় কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে বদি, তার আপন দুই ভাই ও দুই সৎ ভাইয়ের নাম ওঠে।
অধিদপ্তরের অপারেশন অধিশাখার প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তখন সংবাদ প্রকাশ করেছিল।
সকালের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “অনেকের নামই আছে। কিন্তু তার (বদি) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাইনি।”
সেক্ষেত্রে বদি কী মাদক পাচারের অভিযোগ থেকে মুক্ত- বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “সকালে এভাবে বোঝাতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি, এই পর্যন্ত যতটুকু তদন্ত প্রশাসন করেছে, তাতে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলেনি।”
তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “এটা তো মামলা নয় যে কেউ খালাস পেয়ে যাবে। অভিযোগের তদন্ত সব সময় চলছে, আরও চলবে।”
মাদক পাচার ছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় বিতর্কিত বদি বরাবরই তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।