শনিবার বিকালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম আয়োজিত ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাইয়ে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের সাড়ে ৯ কোটি ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে রয়েছে জাতীয় তথ্যভাণ্ডার। নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রও দিয়েছে।
ভোটার হওয়ার সময় নাগরিকরা অন্তত ৪০টি তথ্য দেন নির্ধারিত ফরমে। জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম, পিতা-মাতা, জন্মতারিখ, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দৃশ্যমান থাকে।
জালিয়াতি রোধ ও অপরাধীদের শনাক্তে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে তথ্য যাচাইয়ের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। গত ১৯ অগাস্ট বেসরকারি ব্র্যাক বাংক ও ডাচবাংলা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয় ইসির।
আরও অন্তত দেশের ৩০টি সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করার কথা রয়েছে তাদের।
সরাসরি সম্প্রচারকালে একজন দর্শক টুইটারের মাধ্যমে জানতে চান, জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত এই তথ্যভাণ্ডার কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়া নিরাপদ বা যৌক্তিক কি না?
জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “এনআইডির কোনো তথ্য হস্তান্তর করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভাণ্ডারে নির্ধারিত কয়েকটি তথ্য যাচাইয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছে মাত্র।”
নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এনআইডির তথ্য যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেওয়া হচ্ছে- একথা ভুল। সঠিক ব্যক্তি চিহ্নিত করতেই এ ধরনের ডাটা শেয়ার করা হচ্ছে। ভয়ের কিছু নেই। আমরা সবাইকে সাইবার নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।”
অনুষ্ঠানের আরেক আলোচক র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রে দুই ধরনের তথ্য থাকে। একটা সকলের দেখা বা জানার মতো অংশ, আরেকটি গোপনীয় অংশ। জাতীয় পরিচয়পত্রের যে তথ্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, তা ব্যক্তির সাধারণ ব্যবহারিক তথ্য (পাবলিক ইনফরমেশন বা যতটুকু সব ক্ষেত্রে প্রকাশ করা যায়), গোপনীয় অংশ নয়।”