রোববার দুপুরে শহরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে শহরের এ এইচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তোলার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ স্কুলটির অধ্যক্ষের
অধ্যক্ষ গাউছুর রহমান বলেন, “আমরা কর্মসূচি পালন করতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার পর পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার কেড়ে নেয়।
“এ সময় পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা গাড়িতে তোলার কারণ জানতে চাইলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুনিরুজ্জামান জানান, মানববন্ধনের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নেয় নি।
অনুমতি নিয়ে কেউ মানববন্ধন করলে পুলিশ তাদের সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
তবে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পারভেজ রহমান বলেন, কেউ যদি কোনো অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় দাঁড়ায় তাহলে অনুমতি নেওয়াটা জরুরি নয়। পুলিশ কেন বাধা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের মোস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ও হ্যাপি আক্তারের লাশ মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সাত জনকে আসমি করে শুক্রবার হত্যা মামলা করেন সুমাইয়ার বাবা বিল্লাল শিকদার। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।