বোয়ালখালী-কালুরঘাট দ্বিমুখী সেতু নির্মাণের দাবি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর বোয়ালখালী-কালুরঘাট অংশে দ্বিমুখী সেতু নির্মাণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2015, 11:17 AM
Updated : 12 August 2015, 11:17 AM

বুধবার চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেন পরিষদের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেল সেতুটি ১৯৫৮ সালে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম-দোহাজারী রুটে ট্রেন চলাচল সীমিত হয়ে পড়লে এই সেতুটির ওপর যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।

এরপর ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে শাহ আমানত সেতু ভেঙে গেলে কালুরঘাট সেতুর ওপর দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও বান্দরবানের যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় সেতুটির অবস্থা নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বর্তমান কালুরঘাট সেতুটি পূর্ণাঙ্গ নয়। ৮৫ বছরের পুরনো সেতুটিতে বিভিন্ন সময় সংস্কার কাজ করা হলেও সেতুটি এখনও নাজুক।

১৯৯৭ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১০ টনের বেশি পরিবহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার বিষয়টি তুলে ধরে এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) এক গবেষণায় সাত মাত্রার ভূমিকম্পে সেতুটি ধসে পড়ার শঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

কালুরঘাট সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস স্মরণ করে নেতারা বলেন, ২০১২ সালে রেলমন্ত্রী কালুরঘাট সেতুলাগোয়া দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য স্থান পরিদর্শন করে শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।

কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ হলে চট্টগ্রাম শহরের ওপর চাপ কমার বিষয়টি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, এই সেতুটি নির্মাণ করা হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পাঞ্চল করার পাশাপাশি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ এবং চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য পরিবহনও সহজ হবে।

এদিকে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর পাশাপাশি সেতু নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার আশ্বাস দেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী-কালুঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক আব্দুল মোমিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম, সদস্য সচিব রমেন দাশ গুপ্ত, অমল কান্তি নাথ, আব্দুল মান্নান, সিডিএ’র সহকারী সচিব সিরাজুল হক বাদশা, মো. ইউনুচ, আলমগীর মোর্শেদ বাবু।