গ্রেপ্তার দুজন হলেন- উপজেলার সুনাইকান্দা গ্রামের আহম্মদ আলী (৮০) ও বাড়হাগণকপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান (৭৮)।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রামাণিক জানান, ট্রাইব্যুনালের পরোয়ানায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
“তাদের পূর্বধলা থানায় রাখা হয়েছে। পরে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।”
বাড়হা গ্রামের আব্দুল খালেক, চিকিৎসক হেম চন্দ্র বাগচীসহ সাতজনকে অপহরণ, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির।
তদন্ত শেষে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল ওই মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নী জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “নেত্রকোণার সাত আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল-১ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন গ্রেপ্তার হয়েছে।”
মুক্তিযোদ্ধা কাদির বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ অগাস্ট রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সাত-আটজন সদস্য তার ভাই কৃষক আব্দুল খালেককে বাড়ি থেকে অপহরণ করে। পরে তাকে হত্যা করে কংস নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। অপহরণের দিন তাদের বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে অগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় রাজাকারার।